কিং ফাহদের ঝর্ণা

কিং ফাহদের ঝর্ণা, জেদ্দা

কিং ফাহদের ঝর্ণা, জেদ্দা

সৌদি আরবের জেদ্দায় কিং ফাহদের ঝর্ণা অবস্থিত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ঝর্ণা। বাদশাহ ফাহদের ঝর্ণা বিশ্বের সর্বোচ্চ পানির ঝর্ণা হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ঝর্ণাটি জেদ্দা ঝর্ণা নামেও সুপরিচিত।

ইতিহাস

রাজা ফাহদ ঝর্ণাটি জেদ্দা শহরে দান করেছিলেন, তাই তার নামানুসারে ঝর্ণাটির নামকরণ করা হয়েছে। ঝর্ণাটি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিলো এবং ১৯৮৫ সালে চালু হয়েছিলো। ঝর্ণাটি জেনেভা ফাউন্টেন (দৈর্ঘ্য ১৪০ মিটার, পাম্পিং গতি ১২৪ মাইল) দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলো, কিন্তু পরিকল্পনাকারীরা উচ্চতা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। ১৯৮৫ সালে ৩১২ মিটার (১০২৪ ফুট) উচ্চতা থেকে ২৩৩ মাইল প্রতি ঘন্টা বেগে সমুদ্রের জল পাম্প করার জন্য ঝর্ণাটি তার বর্তমান আকারে চালিত হয়েছিল। টিম রেড বুল এয়ার ফোর্স বেস জাম্পার ওথার লরেন্স ঝর্ণা বরাবর একটি ঐতিহাসিক লাফ দিয়ে একটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেন।

নকশা

রাতে বাদশাহ ফাহদের ফোয়ারা ঝর্ণার ভিত্তি একটি বড় মাবখারার আকৃতির, একটি ধূপ জ্বালানো যা আরবীয় সংস্কৃতির প্রতীক। ঝর্ণা সমুদ্রের জল পাম্প করার কারণে, মরিচা এবং ক্ষয় সৃষ্টি হতো। তাই নির্মাতারা পানি পাম্পে পৌঁছানোর আগে, ধ্বংসাবশেষ, বালি এবং জৈব পদার্থ অপসারণের জন্য অনেকগুলি ফিল্টারের মধ্য দিয়ে জল শুদ্ধ করার ব্যাবস্থা করেন। শত শত মিটার উচ্চতা থেকে হাজার হাজার টন জলের ক্রমাগত পতন দেখার জন্য ফোয়ারটি ৫০০টি হাই-লাইট এলইডি দ্বারা আলোকিত করা হয়। এই স্পটলাইটগুলি বিশেষ দ্বীপগুলিতে ইনস্টল করা হয়। লোহিত সাগরে অবস্থিত এই চমৎকার ঝর্না পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। বিশেষ করে রাতের বেলা যখন এর সাথে বিভিন্নও রঙের আলো সংযুক্ত করা হয় তখন ঝর্নার সৌন্দর্য অনেকগুন বেড়ে যায়।

বর্তমান অবস্থা

সৌদি আরবের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত, ঝর্ণাটি সর্বাধিক ২৬০ মিটার (৮৫৩ ফুট) উচ্চতায় জল বহন করে। বাদশাহ ফাহদের ঝর্ণা বিশ্বের সর্বোচ্চ পানির ঝর্ণা হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সাগরের নোনা পানি ব্যাবহার করে চলা এই ঝর্নাটিকে জেদ্দা শহরের প্রায় সব জায়গা থেকেই দেখা যায়। ঝর্ণা থেকে নির্গত জল ৩৭৫ কি.মি/ঘন্টা (২৩৩ মাইল) গতিতে পৌঁছতে পারে এবং এর বায়ুবাহিত ভর ১৬ টন ছাড়িয়ে যেতে পারে৷ ঝর্ণার আশেপাশে ৫০০ টিরও বেশি এলইডি স্পটলাইট রাতে ফোয়ারাকে আলোকিত করে।